‘উডের নির্দেশনামা' (১৮৫৪)-কে এদেশের শিক্ষা বিস্তারের 'মহাসনদ' বলা হয় কেন?
‘উডের নির্দেশনামা' (১৮৫৪)-কে এদেশের শিক্ষা বিস্তারের 'মহাসনদ' বলা হয় কেন?
১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে বোর্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি চার্লস উড ভারতে যে শিক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশনামা' প্রকাশ করেন তাকে এদেশের পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের 'ম্যাগনাকার্টা' বলা হয়।
ভারতে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রসার ঘটলেও সুনির্দিষ্ট পাঠক্রম ও কাঠামো ছিল না। উডের নির্দেশনামার ওপর ভিত্তি করে ভারতে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামো গড়ে উঠেছিল।
এই নির্দেশনামায় নিম্নতম পর্যায় থেকে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থাকে বিন্যস্ত করার কথা বলা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কলেজ ও প্রেসিডেন্সিগুলিতে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। পৃথক একটি শিক্ষা বিভাগ ও ‘ডিরেক্টর অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন' পদের সৃষ্টি করা হয়। শিক্ষক-শিক্ষণ-এর উপর জোর দেওয়া হয়। নারীশিক্ষা প্রসারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। অন্যদিকে গণশিক্ষার মাধ্যম হিসেবে মাতৃভাষার বহুল ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়।
উডের নির্দেশনামার ওপর ভিত্তি করে প্রত্যেক প্রদেশে ‘জনশিক্ষা দপ্তর' স্থাপন করা হয় । ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।