বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার বিকাশে ডঃ মহেন্দ্র লাল সরকারের কিরূপ অবদান ছিল ?
বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার বিকাশে ডঃ মহেন্দ্র লাল সরকারের কিরূপ অবদান ছিল ?
কায়েমী স্বার্থরক্ষাকারী ও প্রভুত্ববাদী ঔপনিবেশিক বিজ্ঞানচর্চার প্রেক্ষাপটে ভারতীয়দের মধ্যে আধুনিক বিজ্ঞানচর্চা সম্প্রসারণ এবং জাতীয় বিজ্ঞান গবেষণাগার নির্মাণে এগিয়ে এসেছিলেন কলকাতা মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় এম. ডি. ডাঃ মহেন্দ্র লাল সরকার।
ডাঃ মহেন্দ্র লাল সরকার অ্যালোপ্যাথির ডাক্তার হলেও অচিরেই হোমিওপ্যাথির একজন অগ্রগণ্য ডাক্তার হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। তিনি কেশবচন্দ্র সেন, রামকৃষ্ণ পরমহংস প্রমুখ ব্যক্তিবর্গের চিকিৎসাও করেছিলেন। তৎকালীন বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার রিচার্ড টেম্পল, ফাদার লাঁফো, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রমুখ ব্যক্তির সহযোগিতায় তিনি ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে বৌবাজার স্ট্রীটে প্রথম ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অব সায়েন্স (IACS) প্রতিষ্ঠা করেন। এর পরে এখানে আধুনিক লেকচার থিয়েটার হল এবং বিশ্বমানের ল্যাবরেটারি গড়ে তোলা হয়েছিল।
IACS তে পদার্থবিদ্যায় ফাদার লাঁফো ডঃ সরকার স্বয়ং এবং পরে জগদীশ চন্দ্র বোস, রসায়নে কানাইলাল দে, গণিতে আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, ভূতত্ত্বে প্রমথনাথ বসু, জীববিজ্ঞানে নীলরতন সরকার এর মতো দিকপাল পণ্ডিতেরা শিক্ষাদানে নিযুক্ত ছিলেন।
সি.ভি.রমন এখানে গবেষণা করেন এবং ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর বিখ্যাত রমন ক্রিয়া-এর জন্য নোবেল পুরস্কার পান এবং ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে কে. এস. কৃষ্ণান 'Crystal Magnetism'-এর ওপর গবেষণা করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেন।