বারদৌলি সত্যাগ্রহের প্রতি জাতীয় কংগ্রেসের কীরূপ মনোভাব ছিল?

 বারদৌলি সত্যাগ্রহের প্রতি জাতীয় কংগ্রেসের কীরূপ মনোভাব ছিল? 


        ১৯২৫ খ্রি: তুলোর দাম বৃদ্ধি ও রাজস্ব ৩০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রতিবাদে গুজরাটের বারদৌলি তালুকে সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু হয়েছিল। বারদৌলি তালুকে কংগ্রেস নেতারা সত্যাগ্রহের আদর্শ প্রচার করে জনগণকে সচেতন করে তুলতে থাকেন।


        বারদৌলির সত্যাগ্রহ আন্দোলনে নেতৃত্বে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ১৯২৮ খ্রি: ফ্রেব্রুয়ারী মাসে গান্ধীবাদী যুবক বল্লভভাই প্যাটেল বারদৌলিতে আসেন। তাঁর নেতৃত্বে বারদৌলির কৃষকরা খাজনা প্রদান বন্ধ করার শপথ নেয়। প্যাটেল বারদৌলি অঞ্চলকে ১৩টি অংশে বিভক্ত করে বিভিন্ন অংশের আন্দোলন পরিচালনার দায়িত্ব পৃথক পৃথক নেতাদের হাতে তুলে দেন। ছাত্র-যুবসহ ১৫০০ স্বেচ্ছাসেবক আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যায়।


        বারদৌলি সত্যাগ্রহ আন্দোলনে মহিলারাও যথেষ্ট সংখ্যায় যোগদান করেন। মিঠুবেন প্যাটেল, মনিবেন প্যাটেল, সারদা মেহতা প্রমুখ নারী বারদৌলি সত্যাগ্রহ আন্দোলনে যোগ দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন।


      গান্ধীজী ১৯২৮ খ্রি: ২ আগস্ট বারদৌলিতে আসেন। বল্লভভাই প্যাটেলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে তিনি এই আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। সরকার আন্দোলনকে স্তব্ধ করার জন্য যে তদন্ত কমিশন গঠন করেন তার সুপারিশ গান্ধীজীর সমর্থনে কৃষকরা মেনে নিয়েছিলেন। এই সুপারিশে খাজনার হার কমে ৬.০৩% করা হয়। গান্ধীবাদী জাতীয়তাবাদ নিশ্চিতভাবে গুজরাটের কৃষকদের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু সুবিধা নিয়ে এসেছিল।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন