ব্রহ্মপুত্র নদী
ব্রহ্মপুত্র নদী
ব্রহ্মপুত্র নদী (2900 কি.মি., ভারতে 855 কি.মি.) :
উৎপত্তি—
তিব্বতের মানস সরোবর ও কৈলাস পর্বতের মধ্যবর্তী চেমায়ুং-দুং(মতান্তরে তমচক কামবার-চরটেন) হিমবাহ থেকে সাংপো নদ উৎপন্ন হয়ে তিব্বতের মধ্য দিয়ে পশ্চিম থেকে পূর্বে প্রবাহিত হয়েছে। ভারতের উত্তর-পূর্বে নামচাবারওয়ারের নিকট সংকীর্ণ ও গভীর গিরিখাতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এই নদ ভারতের অরুণাচল প্রদেশে প্রবেশ করেছে। এই অংশের নাম ডিহং। সাদিয়া অঞ্চলে ব্রহ্মকুণ্ডের উত্তর দিক থেকে ডিবং ও পূর্বদিক থেকে লোহিত নদী ডিহং নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ নাম ধারণ করেছে।
প্রবাহপথ—
ব্রহ্মপুত্র নদ অসমের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ধুবড়ীর নিকট বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশে এর নাম যমুনা। যমুনা নদী পরে পদ্মার সঙ্গে মিলিত হয়েছে। অসম সমভূমিতে ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহপথে অনেক বালুচড়া ও দ্বীপ দেখতে পাওয়া যায়। এদের মধ্যে মাজুলি নদী- দ্বীপ বৃহত্তম ( ভারতের বৃহত্তম নদী দ্বীপ) । ভারতে নদীগুলির মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি জল পরিবাহিত হয়। এই নদীর খাত অগভীর হওয়ায় প্রতিবছর বর্ষাকালে প্রবল বন্যার সৃষ্টি হয়।
উপনদী—
ব্রহ্মপুত্রের ডানতীরের উল্লেখযোগ্য উপনদীগুলি হ'ল—সুবর্ণশিরি, কামেং, মানস, অ্যামাচো, সংকোশ, তিস্তা প্রভৃতি।
এর বামতীরের উল্লেখযোগ্য উপনদীগুলি হ'ল–বুড়ি ডিহং, ডিসাঙ, কোপিলি, ধনসিরি প্রভৃতি।
উল্লেখযোগ্য শহর—
ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে উল্লেখযোগ্য শহরগুলি হ'ল—ডিব্রুগড়, তেজপুর, গৌহাটি (গুয়াহাটি), গোয়ালপাড়া, ধুবড়ী প্রভৃতি।