সিন্ধু নদের গতিপথ

 সিন্ধু নদের গতিপথ 

সিন্ধু নদ ( 2880 কি.মি., ভারতে 709 কি.মি.) :

উৎপত্তি—

        তিব্বতের মানস সরোবরের উত্তরে সিঙ্গিখাবাব হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়েছে।

প্রবাহ পথ—

        তিব্বতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এই নদ ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে প্রবেশ করেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের জাস্কর ও লাডাক পর্বতশ্রেণী অতিক্রম করে এই নদ বুঞ্জির কাছে গভীর গিরিখাত (5 কি.মি.) সৃষ্টি করেছে। এই রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রায় 709 কি.মি. প্রবাহিত হয়ে সিন্ধুনদ পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে। পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এই নদ আরব সাগরে পড়েছে।

উপনদী

        ভারতের অর্থনীতিতে সিন্ধুনদ অপেক্ষা এর উপনদীগুলির গুরুত্ব বেশি। সিন্ধুর ডানতীরের উপনদীগুলি হ’ল - শায়ক, শিগার ও গিলগিট এবং বামতীরের উপনদীগুলি হল- বিতস্তা (ঝিলাম), চন্দ্রভাগা, ইরাবতী (রাভি), শতদ্রু (শতলজ) ও বিপাশা (বিয়াস)।

       বামতীরের এই পাঁচটি নদী একত্রে পঞ্চনদের সমভূমি 'পাঞ্জাব' গঠন করেছে (পাঞ্জাবের বেশ কিছু অংশ বর্তমানে পাকিস্তানের অন্তর্গত)।

             বিতস্তা নদী পিরপঞ্জালের ভেরিনাগ প্রস্রবণ থেকে উৎপন্ন হয়ে 400 কি.মি. পথ অতিক্রম করে চন্দ্রভাগা নদীতে মিলিত হয়েছে।

             হিমাচল প্রদেশ থেকে চন্দ্রভাগা (চন্দ্র ও ভাগা নদীর মিলিত প্রবাহ), ইরাবতী ও বিপাশা নদী উৎপন্ন হয়ে যথাক্রমে সিন্ধু, চন্দ্রভাগা ও শতদ্রু নদীতে মিলিত হয়েছে।

             সিন্ধুর গুরুত্বপূর্ণ উপনদী হ'ল শতদ্রু। তিব্বত মালভূমির রাকস হ্রদ থেকে উৎপন্ন হয়ে এই নদী সিপকি লা গিরিখাতের মধ্য দিয়ে হিমাচল প্রদেশে প্রবেশ করেছে। রোপারের নিকট পাঞ্জাব সমভূমিতে প্রবেশ করার আগে এই নদী মৈনাদেবীধর পর্বতের নিকট গভীর ভাকরা গিরিখাত সৃষ্টি করেছে। ভারতে প্রবাহিত শতদ্রুর মোট দৈর্ঘ্য 1050 কি.মি. ।

উল্লেখযোগ্য শহর— 

           বিতস্তা নদীর তীরে শ্রীনগর, শতদ্রু নদীর তীরে ভাকরা প্রভৃতি।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url