পরিবেশের ওপর বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থের প্রভাব
পরিবেশের ওপর বর্জ্য পদার্থের প্রভাব :
বর্তমানে অত্যধিক হারে শিল্পায়নের ফলে পৃথিবী জুড়ে প্রতিদিন হাজার হাজার টন বর্জ্য পদার্থ তৈরি হচ্ছে এবং সেগুলিকে হয় মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কিংবা স্তূপাকারে ফেলে রাখা হচ্ছে নতুবা জলে ভাসানো হচ্ছে। ফলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
1) পরিবেশের ওপর কঠিন বর্জ্যের প্রভাব :
কঠিন বর্জ্য পদার্থ যেমন জজ্ঞাল , র্যাবিশ, স্ল্যাগ, ছাই প্রভৃতি পরিবেশের ওপর যে ক্ষতিকর প্রভাবগুলি পড়ে সেগুলি হল –
i) কঠিন বর্জ্য পদার্থ মাটির ওপর অনেকদিন ফেলে রাখলে সেখানকার জল ও মাটি দূষিত হয়।
ii) কঠিন বর্জ্য পদার্থ থেকে টাইফয়েড, জন্ডিস, আন্ত্রিক, কলেরা, ধনুষ্টংকার বা টিটেনাস, চর্মরোগ, কৃমি, ফুসফুসের রোগ প্রভৃতি হতে পারে।
iii) পচা আবর্জনা ও নোংরা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
iv) কঠিন আবর্জনা বায়ু ও মৃত্তিকা দূষিত করে।
2) বিষাক্ত বর্জ্যের প্রভাব :
i) বিষাক্ত ধাতু কলকারখানা থেকে নির্গত হয়ে বাতাস, জল ও মৃত্তিকা দূষিত করে।
ii) পরিবেশ থেকে বিষাক্ত ধাতু জলজ বা স্থলজ পরিবেশতন্ত্রের খাদ্যশৃঙ্খলে প্রবেশ করে মানুষের শরীরে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি, কিডনির ক্ষতি, শরীরে টিউমার সৃষ্টি করে, কোশের জেনেটিক মিউটেশন ঘটায়, ক্যানসার, পাকস্থলিতে আলসার প্রভৃতি নানারকমের শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে।
3) রাসায়নিক বর্জ্য ও কীটনাশকের প্রভাব:
কৃষিকার্যের আধুনিকীকরণ ও অতিরিক্ত উৎপাদনের জন্য, রাসায়নিক সার, কীটনাশক, পতঙ্গনাশক, ছত্রাকনাশক যৌগ ব্যবহার করা হয়। ফসলের মাধ্যমে এগুলির বিষ মানুষের ও অন্যান্য প্রাণীর শরীরে ঢোকে এবং নানা রকম রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। খাদ্যশৃঙ্খলের বিঘ্ন ঘটায়। এদের ব্যবহারে তাৎক্ষণিক কিছু লাভ হলেও -
i) জমিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ কমে আসে। জমি অনুৎপাদক ঊষর হয়।
ii) প্রচুর পরিমাণে পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর মৃত্যু ঘটে।
iii) ছত্রাকনাশক যৌগের মাধ্যমে বিভিন্ন স্বভোজী ও মৃতজীবী জীব মারা যায়।
iv) জমির বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়।
এছাড়াও