বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের ভূমিকা

  বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের  ভূমিকা

            বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের  ভূমিকা সংক্ষেপে আলোচনা করো।


            বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে শিক্ষার্থীদের যে সকল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করা উচিত, তা নিম্নরূপ- 

    i) পুঞ্জিত বর্জ্য যথাযথ অপসারণ ও পুনর্ব্যবহার এবং বর্জ্য পদার্থ পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের নিজে ও অন্যান্যদের সতর্ক ও সচেতন করতে হবে। 

    ii) বর্জ্যপদার্থগুলি নিয়ন্ত্রণের জন্য কী কী নিয়ম অনুসরণ করলে ক্ষতির পরিমাণ কম হয় সে সম্পর্কে শিক্ষার্থীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করা উচিত। 

   iii) মাঝে মাঝে স্কুল, নিজের এলাকায় পরিবেশে বর্জ্যের ক্ষতিকারক দিকগুলি নিয়ে সচেতনতামূলক বিতর্ক, আলোচনা, মিছিলের আয়োজন করে সচেতনতা বাড়ানো উচিত।

   iv) বর্জ্য পদার্থ মানুষের স্বাস্থ্যের ও পরিবেশের যে ব্যাপক ক্ষতি করে সে সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে।

   v) মা-বাবার সঙ্গে বাজার করার সময় দোকান বা বাজারের প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে বাড়ির ব্যাগ ব্যবহার করা এবং ওই ব্যাগ ব্যবহারের জন্য বাবা-মাকে শিক্ষার্থীরা উৎসাহ দিতে পারে।

   vi) শিক্ষক-শিক্ষিকার সহায়তায় শিক্ষার্থীরা বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির চার্ট, দেয়াল পত্রিকা তৈরি করতে পারে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে ছোটো নাটক মধ্যস্থ করবে যাতে সব শিক্ষার্থীর মধ্যে বর্জ্যের বিপজ্জনক দিকটি মনে গেঁথে যায় ও সচেতনতা বাড়ে।

   vi) কাগজ, চকোলেট র‍্যাপার ইত্যাদি বর্জ্য পদার্থ যত্রতত্র না। ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে বা ডাস্টবিনে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে।

   vii) বর্জ্যের কোন্ অংশগুলি Recycling বা পুনঃচক্রায়নযোগ্য সে সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীরা সবাইকে বোঝানো এবং সেগুলি ব্যবহারের উপর প্রচার চালাতে পারে।

   viii) শিক্ষার্থীর অতিরিক্ত জামাকাপড়, বই বা ব্যবহার উপযোগী দ্রব্য ফেলে না দিয়ে চ্যারিটেবল সংস্থাকে দিলে, এই সংস্থা নিম্ন অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পন্ন মানুষের কাছে সেগুলো পৌঁছে দেয়। এতে দ্রব্যগুলির পুনর্ব্যবহার এবং বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ কমে।

   ix) আধুনিক ব্যাগের পরিবর্তে কাপড় বা চটের তৈরি ব্যাগ শিক্ষার্থীরা স্কুলে ব্যবহার করতে পারে।

   x) Use and throw পেনের পরিবর্তে কালির পেন (ফাউন্টেন পেন) ব্যবহার করলে বর্জ্যের পরিমাণ কমবে এবং খরচও কমবে।

   xi) শিক্ষার্থীরা জৈব ভঙ্গুর ও জৈব অভঙ্গুর পদার্থের পৃথকীকরণ করবে।

   xii) প্রত্যেক শিক্ষার্থী নির্মল বিদ্যালয় অভিযানে শামিল হবে যাতে আবর্জনা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের পরিবেশ সর্বাঙ্গ সুন্দর হয়ে ওঠে।





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url