বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার তারতম্যের কারণ / বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার তারতম্যের নিয়ন্ত্রক হিসেবে স্থলভাগ ও জলভাগের বন্টন

 বায়ুমন্ডলের উষ্ণতা কাকে বলে? বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার বৈশিষ্ট্য। বায়ুমণ্ডল কিভাবে উত্তপ্ত হয়? বা বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হওয়ার পদ্ধতি।  বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বা উষ্ণতার তারতম্যের কারণ। বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার বা বায়ুর উষ্ণতার প্রভাব । উষ্ণতা মাপক যন্ত্রের নাম কি? বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার তারতম্যের নিয়ন্ত্রক হিসেবে স্থলভাগ ও জলভাগের বন্টন


বায়ুমন্ডলের উষ্ণতা কাকে বলে?

      কোন স্থানের উষ্ণতা বলতে সেই স্থানের বায়ুমন্ডলের উষ্ণতাকেই বোঝায়।


বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার বৈশিষ্ট্য : 


১. নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা সবচেয়ে বেশি এবং মেরু অঞ্চলে সবচেয়ে কম।
 
২. নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারা বছরই উষ্ণতা প্রায় সমান থাকে। মেরু অঞ্চলে শীত ও গ্রীষ্মের উষ্ণতার মধ্যে বেশ পার্থক্য দেখা যায়। 

৩. পৃথিবীর বার্ষিক গতির জন্য জানুয়ারী মাসে দক্ষিণ গোলার্ধে এবং জুলাই মাসে উত্তর গোলার্ধে বেশি উষ্ণতা দেখা যায়। 

৪. সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার তারতম্যে উষ্ণতার তারতম্য হয়। প্রতি ১০০০ মিটার বা ১ কি.মি. উচ্চতায় (ট্রপোস্ফিয়ারে) ৬.৪° সে. বা ১০০০ ফুট উচ্চতায় ৩.৩° ফা. হারে উষ্ণতা কমে যায় ৷


বায়ুমণ্ডল কিভাবে উত্তপ্ত হয়? বা বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হওয়ার পদ্ধতি


        সূর্যরশ্মি সরাসরি বায়ুমণ্ডলকে তেমন উত্তপ্ত করতে পারে না। সূর্যতাপে ভূ-পৃষ্ঠ প্রথমে উত্তপ্ত হয় এবং ঐ উষ্ণ ভূ-পৃষ্ঠের তাপ বিকিরণের ফলেই বায়ুমণ্ডল পরোক্ষভাবে উত্তপ্ত হয়। বিভিন্ন পদ্ধতিতে বায়ুমণ্ডল উষ্ণ হয়। এগুলি হ'ল-

(১) বিকিরণ পদ্ধতি (Radiation) : 


            যে পদ্ধতিতে তাপ কোন জড় মাধ্যম ছাড়াও শীতলতর স্থানে সঞ্চালিত হয়, তাকে বিকিরণ বলে। সূর্য থেকে বিকিরিত সৌররশ্মি বায়ুমণ্ডল ভেদ করে ক্ষুদ্র তরঙ্গ রূপে পৃথিবী-পৃষ্ঠে আসে এবং ভূ-পৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে। উত্তপ্ত ভূ-পৃষ্ঠ যে তাপ বিকিরণ করে তার প্রভাবে বায়ুমণ্ডলের নিচের স্তর উত্তপ্ত হয়।

(২) পরিবহন পদ্ধতি (Conduction) :


       পরিবহন পদ্ধতিতে কোন উষ্ণ পদার্থের তাপ শীতল পদার্থের ওপর ধীরে ধীরে সঞ্চারিত হয়ে তাকে উষ্ণ করে তোলে। ভূ-পৃষ্ঠের তাপ বিকিরণে বায়ুমণ্ডলের নিচের অংশ উত্তপ্ত হলে তা অপেক্ষাকৃত শীতল বায়ুস্তরে তাপ সঞ্চালন করে এবং এইভাবে তাপের পরিবহনে বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হয় ।

(৩) পরিচলন পদ্ধতি (Convection) : 


      বায়ু উষ্ণ হলে হাল্কা হয় ও ওপরের দিকে উঠে যায়। বায়ুমণ্ডলের নিচের স্তরের বায়ু উষ্ণ হলে তা হাল্কা হয়ে ওপরে উঠে যায় এবং নিচের শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য ওপরের ভারী শীতল বায়ু নিচে নেমে আসে। ধীরে ধীরে ঐ শীতল বায়ুও উষ্ণ বায়ুর সংস্পর্শে এসে উষ্ণ হয় ও ওপরে উঠে যায়। এই প্রক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরে উত্তাপ ছড়িয়ে যায় এবং বায়ুমণ্ডল উষ্ণ হয়।

(৪) তাপ শোষণ পদ্ধতি (Heat absorption) : 


       সূর্যরশ্মি সরাসরি বায়ুমণ্ডলকে উষ্ণ করতে পারে না। তবে বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন ভাসমান ধূলিকণা, জলীয় বাষ্প, কার্বন-ডাই-অক্সাইড প্রভৃতি সরাসরি সূর্যরশ্মি থেকে তাপ শোষণ করে বায়ুমণ্ডলকে সামান্য উত্তপ্ত করে।

(৫) অন্যান্য পদ্ধতি ঃ 


      (i) ভূ-পৃষ্ঠের মধ্যে বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থের (ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, রেডিয়াম প্রভৃতি) তাপ বিকিরণের ফলে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে সামান্য তাপ বিচ্ছুরিত হয়। 

      (ii) আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, উষ্ণ প্রস্রবণ প্রভৃতি থেকে যে তাপ বিচ্ছুরিত হয়, তার প্রভাবে বায়ুমণ্ডল সামান্য উষ্ণ হয়। 

      (iii) বাতাস সঙ্কুচিত হলে তা উষ্ণ হয়ে পড়ে এবং বায়ুমণ্ডলকে সামান্য উত্তপ্ত করে। 

      (iv) জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে মেঘ ও বৃষ্টিতে পরিণত হলে যে লীনতাপ ত্যাগ করে তার প্রভাবে বায়ুমণ্ডল সামান্য উষ্ণ হয়।


বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বা উষ্ণতার তারতম্যের কারণ 

        ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র বায়ুমন্ডলের উষ্ণতা সমান হয় না। কোথাও উষ্ণতা বেশি হয় আবার কোথাও কম হয়। বিভিন্ন কারণে ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানে উষ্ণতার এই তারতম্য বা পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। সেগুলি হল- 

 ক) অক্ষাংশঃ  

         ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা সেই স্থানের অক্ষাংশের ওপর নির্ভর করে। নিম্ন অক্ষাংশ বা নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্যরশ্মি লম্বভাবে কিরণ দেওয়ার ফলে সেখানকার তাপমাত্রা বেশি হয়। নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে যতই মেরুর দিকে যাওয়া যায় উষ্ণতা ততই কমতে থাকে। তার কারণ যতই উত্তর মেরুর দিকে এবং দক্ষিণ মেরুর দিকে যাওয়া যায় সূর্যরশ্মি ততই তির্যকভাবে কিরণ দেয় এবং দিনরাত্রি দৈর্ঘ্যের হ্রাস বৃদ্ধি হয়। এই কারণে উচ্চ অক্ষাংশে উষ্ণতা কম হয়। হিসাব করে দেখা গেছে প্রতি 1° অক্ষাংশ বৃদ্ধিতে 0.28°  সেলসিয়াস উষ্ণতা হ্রাস পায়।
 

খ) উচ্চতাঃ 

        সূর্যের আলোতে প্রথম ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে তাপ বিকিরণের মাধ্যমে বায়ুমন্ডল উত্তপ্ত হয়। বায়ুমন্ডলে উপস্থিত জলীয় বাষ্প, ধূলিকণা, কার্বন-ডাই-অক্সাইড তাপমাত্রার শোষণ করে এবং বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত করে। নিম্ন  বায়ুমণ্ডলে এই সকল উপাদান বেশি থাকায় তাপমাত্রা বেশি হয়। যতই উপর দিকে যাওয়া যায় এই সকল তাপ শোষণকারী উপাদান কমতে থাকে, তার সঙ্গে বাতাসের ঘনত্ব কমতে থাকায় উপরের বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা কম। হিসাব করে দেখা যায় প্রতি 1000 মিটার বা 1 কিলোমিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে তাপমাত্রা বা উষ্ণতা 6.4° সেলসিয়াস করে কমতে থাকে। অধিক উচ্চতায় অবস্থান করার জন্য দিল্লি থেকে সিমলার উষ্ণতা কম এবং শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং এর উষ্ণতা কম হয়।

গ) স্থলভাগ এবং জলভাগের বন্টন বা সমুদ্র থেকে দূরত্বঃ     

        স্থলভাগ দ্রুত  উষ্ণ হয় এবং দ্রুত শীতল হয়। জলভাগ ধীরে ধীরে উষ্ণ হয় এবং ধীরে ধীরে শীতল হয়। স্থলভাগ জলভাগের চেয়ে চার থেকে পাঁচগুণ বেশি হারে উষ্ণ এবং শীতল হয়। একই পরিমাণ সূর্যরশ্মি স্থলভাগ এবং জলভাগের উপর পড়লে স্থলভাগ অধিক উষ্ণ হয়। জল ভাগ ধীরে ধীরে উষ্ণ এবং শীতল হাওয়ায় সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলগুলিতে উষ্ণতার চরমভাব লক্ষ্য করা যায় না। অর্থাৎ গরমকালে উষ্ণতা খুব বেশি হয় না এবং শীতকালে উষ্ণতা খুব কম হয় না। এই কারণে সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলের জলবায়ু সমভাবাপন্ন বা মৃদুভাবাপন্ন থাকে।  
        বিশাখাপত্তনম, মুম্বাই, গোয়া প্রভৃতিসহ সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় এখানে সমভাবাপন্ন জলবায়ু দেখা যায়। দিল্লি, কানপুর, সমুদ্র থেকে অনেক দূরে অবস্থিত হওয়ায় এখানে শীত এবং গ্রীষ্মের তীব্রতা অনেক বেশি।

ঘ) বায়ুপ্রবাহঃ  

       শীতল অঞ্চলের ওপর দিয়ে উষ্ণ বায়ু প্রবাহিত হলে সেখানকার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং উষ্ণ অঞ্চলের ওপর দিয়ে শীতল বায়ু প্রবাহিত হলে সেখানকার তাপমাত্রা হ্রাস পায়। উষ্ণ "লু" বায়ুর প্রভাবে গ্রীষ্মকালে উত্তর ভারতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় আবার শীতকালে সাইবেরিয়ার উপর দিয়ে প্রবাহিত শীতল বায়ুর প্রভাবে চীনের তাপমাত্রা অনেক কমে যায়।

ঙ) সমুদ্রস্রোতঃ  

        উষ্ণতার ভিত্তিতে সমুদ্রস্রোত দুই প্রকার, যথা- উষ্ণ সমুদ্রস্রোত এবং শীতল সমুদ্রস্রোত।যে স্থানের কাছ থেকে উষ্ণ সমুদ্রস্রোত প্রবাহিত হয় সেখানকার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং কোন স্থানের কাছ থেকে শীতল স্রোত প্রবাহিত হলে তাপমাত্রা কমে যায়। উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের প্রভাবে নরওয়ের হেমারফেস্ট বন্দর দিয়ে শীতকালেও জাহাজ চলাচল করে। শীতল স্রোতের প্রভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরের গড় উষ্ণতা কমে যায়।

চ) ভূমির ঢালঃ  

        উত্তর এবং দক্ষিণ গোলার্ধে পর্বতের উভয় ঢালে সূর্যরশ্মির সমানভাবে পড়ে না। উত্তর গোলার্ধে পর্বতের দক্ষিণ ঢাল বা নিরক্ষরেখার দিকে ঢাল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে পর্বতের উত্তর ঢাল বা নিরক্ষরেখার দিকের ঢালে সূর্যরশ্মি তুলনামূলক লম্বভাবে পড়ে বলে সেখানকার উষ্ণতা বেশি হয় এবং পর্বতের বিপরীত দিকের ঢালের উষ্ণতা কম হয়। হিমালয় পর্বতের দক্ষিণ ঢালে বা নিরক্ষরেখার দিকের ঢালে জনবসতি এবং উদ্ভিদের বিকাশ বেশি হয়েছে। উত্তর দিকের ঢালে জনবসতি কম। 

ছ) মেঘাচ্ছন্নতাঃ

       মেঘাচ্ছন্নতার সময় অনুসারে বায়ুর উষ্ণতা কম বেশি হয়। মেঘমুক্ত দিনে তাপমাত্রা বেশি হয় এবং রাতে বিকিরিত সৌরশক্তি মহাকাশে ফিরে যাওয়ায় বাতাসের উষ্ণতা কম হয়। সকাল থেকে দিনের বেলায় মেঘ থাকলে সৌরশক্তি ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারে না, ফলে উষ্ণতা কম হয়। বিকেলবেলা বা রাত্রিবেলা আকাশে মেঘ থাকলে ভূপৃষ্ঠে আগত সৌরশক্তি বিকিরিত হতে পারে না ফলে উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়। 

জ) অধ:ক্ষেপন  বা বৃষ্টিপাতঃ 

      বৃষ্টিপাত হলে বায়ুর উষ্ণতা কমে যায়। নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারা বছর সূর্যরশ্মি লম্বভাবে কিরণ দিলেও অধিক বৃষ্টিপাতের জন্য এখানকার গড় উষ্ণতা 27° ডিগ্রি সেলসিয়াস। ক্রান্তীয় অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে বৃষ্টিপাত শুরু হলে বায়ুর তাপমাত্রা কিছুটা কমে।

ঝ) স্বাভাবিক উদ্ভিদঃ 

       স্বাভাবিক উদ্ভিদ আচ্ছাদিত অঞ্চলে সূর্যরশ্মি ভূপৃষ্ঠে পৌঁছতে পারে না। এছাড়া সূর্যরশ্মি উদ্ভিদ দ্বারা শোষিত হওয়ায় সেখানকার উষ্ণতা কম হয়। আমাজন বা সেলভা অরণ্য নিরক্ষীয় অঞ্চলে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও বনভূমি দ্বারা আবৃত হওয়ার ফলে এখানকার উষ্ণতা যথেষ্ট কম। 

ঞ) মৃত্তিকাঃ   

       মাটির প্রকৃতি সেখানকার উষ্ণতাকে নিয়ন্ত্রিত করে। কাঁকড় বা পাথুরে মাটি অঞ্চলে দ্রুত তাপ শোষণ এবং বর্জন হওয়ার ফলে দিনের বেলা তাপমাত্রা খুব বেশি হয় এবং রাতের বেলা তাপমাত্রা কমে যায়। কাদামাটি গঠিত অঞ্চল খুব তাড়াতাড়ি উষ্ণ বা শীতল হয় না। এই কারণে দিনের তাপমাত্রা খুব বেশি হয় না আবার রাতের তাপমাত্রা খুব কম হয় না। 

ট) নগরায়ন ও শিল্পায়নঃ 

       যে অঞ্চলের নগরায়ন এবং শিল্পায়ন ঘটেছে সেখানকার তাপমাত্রা বেশি হয়। নগরায়নের ফলে পাকা বাড়ি বা কংক্রিটের বাড়ি নির্মাণ করা হয়, যা বেশি পরিমাণে সৌরশক্তি শোষণ করে। এই অঞ্চলে অধিক বসতি যুক্ত হওয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইড বাতাসে বেশি থাকে, যা বায়ুর তাপ শোষণ করে এবং কলকারখানা এবং গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া বায়ুমন্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।


বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার বা বায়ুর উষ্ণতার প্রভাব :


 ১. বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বেশি হলে জল বাষ্পীভূত হয়ে বায়ুতে মেশে। এই জলীয় বাষ্প আবার শীতল হলে ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। 

২. বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার তারতম্যে বায়ুচাপের সৃষ্টি হয় এবং বায়ুচাপের তারতম্যে বায়ুপ্রবাহ সৃষ্টি হয়। 

৩. উষ্ণতার পার্থক্যের ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর বিকাশ ঘটেছে। মেরু অঞ্চলে অত্যধিক ঠাণ্ডায় সীল, সিন্ধুঘোটক, পেঙ্গুইন প্রভৃতি প্রাণী বাস করে। উষ্ণ অঞ্চলে এই সব প্রাণী বেঁচে থাকতে পারবে না। 

৪. উষ্ণতার পার্থক্যের ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম উদ্ভিদ জন্মায়। উষ্ণ অঞ্চলে ধান, তুলা, সেগুন, শাল প্রভৃতি ফসল ও উদ্ভিদ জন্মে। নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে গম, ওট, ওক, বীচ, পাইন প্রভৃতি ফসল ও উদ্ভিদ জন্মে।  

৫. উষ্ণতার পার্থক্যের ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষের দেহের রঙ, পোশাক-পরিচ্ছদ, খাদ্যাভ্যাস প্রভৃতির পার্থক্য দেখা যায়। 

৬. পৃথিবীতে জীবের জন্ম এবং জীবনধারণের জন্য উত্তাপ অপরিহার্য। 

৭. অতিরিক্ত উষ্ণতা এবং উষ্ণতার অভাব কোনটাই কাম্য নয়। পৃথিবীতে জীবনধারণের জন্য পরিমিত উষ্ণতাই আদর্শ।


বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা মাপার যন্ত্রের নাম কি? 

 উ:- থার্মোমিটার।

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধি করে এমন একটি গ্যাসের নাম লেখ
  উ:- কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url