বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ভরাটকরণ

 বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ভরাটকরণ

 

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ভরাটকরণ কাকে বলে ?

        সাধারণত পরিত্যক্ত বা ফেলে দেওয়া কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থ যা আপাতভাবে কোনো প্রয়োজনে লাগে না তাকে বর্জ্য বলে। 

           বর্জ্য পদার্থগুলিকে শুধুমাত্র অপসারণ বা স্থানান্তকরণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ না করে প্রয়োজনমতো এগুলির পরিমাণ হ্রাস, পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্নবীকরণের মাধ্যমে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বর্জ্য পদার্থ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়। আর এটাই হল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা


কঠিন বর্জ্যের ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি,

(ক) ভরাটকরণ

(খ) বর্জ্য পৃথকীকরণ

(গ) কম্পোস্টিং


(ক) ভরাটকরণ

            বর্জ্য দিয়ে জমি ভরাট কাজটিকে স্বাস্থ্যসম্মত জমি ভরাটকরণ বা স্যানিটারি ল্যান্ডফিল বলা হয়। এই পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনার জৈব অংশ আলাদা করে একটি 2 মিটার উঁচু স্তর বিছিয়ে দেওয়া হয়। তার ওপরে 20-25 সেন্টিমিটার মাটির স্তর ছড়িয়ে দেওয়া হয়। মাটির নীচে থাকা এই বর্জ্যগুলি জৈব ভঙ্গুর বলে এদের পচন হয় এবং তার ফলে এগুলির ভৌত, রাসায়নিক ও জৈব ধর্মের পরিবর্তন ঘটে। এই প্রক্রিয়া চলার সময় এ থেকে মিথেন, অ্যামোনিয়া প্রভৃতি গ্যাস উৎপন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া শেষ হবার পর যা অবশিষ্ট হিসাবে পড়ে থাকে সেগুলি দিয়ে নীচু জমি ভরাট করা হয়।


     উদাহরণ : পূর্ব কলকাতার ধাপায় এই পদ্ধতিতে নীচু জমি ভরাট করে উর্বর কৃষিজমি তৈরি করা হয়েছে। 

    সুবিধা : বর্জ্য পদার্থ মাটি দিয়ে ঢাকা থাকে বলে দূষণে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না। 

   অসুবিধা : একই জায়গার বর্জ্য জমে থাকার ফলে তা থেকে ভূগর্ভস্থ পানীয় জলের দূষণ ঘটতে পারে।




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url