বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংজ্ঞা।
বিভিন্ন প্রকার বর্জ্য পদার্থের বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সংগ্রহ, অপসারণ ও পৃথকীকৃত বর্জ্য সামগ্রীর প্রয়োজনীয় পুনঃব্যবহার এবং নিয়ম অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করার যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় সেই সব গৃহীত পদক্ষেপকে একত্রে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা Waste Management বলা হয়।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করো।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা :
১. দূষণ নিয়ন্ত্রণ :
মাত্রাতিরিক্ত বর্জ্য বৃদ্ধির ফলে বায়ু-জল-মাটি-দৃশ্য দূষণের সমস্যা সমাধান। মাটির উর্বরতা রক্ষা, পরিচ্ছন্ন ও নির্মল পরিবেশ তৈরি করার জন্য বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস করা প্রয়োজন।
২. সম্পদ সৃষ্টি :
দূষক বর্জ্য পদার্থগুলিকে আবার ব্যবহার করে এবং পুনরাবর্তন জৈবসার, জৈবগ্যাস, সিমেন্ট, ইট, ঠোঙা, খেলনা, পেনদানি, নতুন প্লাস্টিক, কাগজ, ধাতু, কাঁচ ইত্যাদি সম্পদ সৃষ্টি করতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জরুরি।
৩. বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস :
জনবিস্ফোরণ, ক্রমবর্ধমান শহরায়ণ ও শিল্পায়ণ আমাদের আশেপাশে কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় বর্জ্যের পরিমাণ অতিদ্রুত বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি করছে। বর্জ্যের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন।
৪. রোগ ব্যাধি হ্রাস:
বিভিন্ন প্রকার বর্জ্য পদার্থের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের রোগ জীবাণু সৃষ্টি হয়। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রোগ ব্যাধি মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা যায়।
৫. মৃত্তিকার উর্বরতা বৃদ্ধি:
জৈব বর্জ্য পদার্থগুলি থেকে কম্পোস্টিং পদ্ধতিতে সার উৎপাদন করা হয়। এর ফলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।
৬. দূষণমুক্ত ভৌমজল:
বর্জ্য পদার্থের স্তূপ থেকে বিষাক্ত জল মাটির অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ভৌমজল বা পানীয় জলকে দূষিত করে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দূষণমুক্ত ভৌম জলস্তর গড়ে তোলা সম্ভব।
৭. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা:
বিভিন্ন প্রকার বর্জ্য পদার্থ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব।
৮. কর্মসংস্থান সৃষ্টি:
গৃহস্থালির ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ সেগুলির পরিবহন এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা করা যায়।